কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরো তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ছয়জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরো তিন জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। আজ রোববার (২৪শে মার্চ) দুপুরে মেঘনা নদী থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মরদেহগুলো হলো, পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা (৭), ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০), নরসিংদির বেলাব থানার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে আনিকা আক্তার (১৮)।
ভৈরব নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মেঘনা নদী থেকে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বেলা ১২ টায় ভৈরব মেঘনা নদী থেকে ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী নৌযান অগ্রণী। পর উদ্ধারকৃত ট্রলারটি আশুগঞ্জের চর সোনারামপুর চরের তীরে রাখা হয়। দুর্ঘটনায় বাকী নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
গত ২২শে মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় ভৈরবের মেঘনা নদীতে ১৬ থেকে ২০জন যাত্রী নিয়ে সুন্দরবন নামে পর্যটকবাহী একটি নৌকা বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাটি ডুবে যায়। ঘটনার পর দিন উদ্ধার অভিযানে শনিবার দুপুরে ৫ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন, পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৫) ও শহরের আমলাপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী চন্দন দে’র কন্যা আরাদ্দা দে (১২)।